যুক্তিবাক্য | উদ্দেশ্য | বিধেয় |
A | ব্যাপ্য | অব্যাপ্য |
E | ব্যাপ্য | ব্যাপ্য |
I | অব্যাপ্য | অব্যাপ্য |
O | অব্যাপ্য | ব্যাপ্য |
A যুক্তিবাক্য: সার্বিক যুক্তবাক্য হিসেবে এর উদ্দেশ্য পদটা ব্যাপ্য কিন্তু সদর্থক যুক্তিবাক্য হিসেবে এর বিধেয় পদটা অব্যাপ্য। যেমন- (A) 'সব মানুষ হয় দ্বিপদ' যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য 'মানুষ' পদটা সামগ্রিক অর্থে গৃহীত হয়েছে। কিন্তু বিধেয় 'দ্বিপদ' পদটাকে সামগ্রিক অর্থে গ্রহণ করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে 'মানুষ' হয় কিছু দ্বিপদ জীব। কারণ সব দ্বিপদ জীব মানুষ নয়। কাজেই A যুক্তিবাক্যে বিধেয় পদটা অব্যাপ্য এবং উদ্দেশ্য পদটা ব্যাপ্য।
E যুক্তিবাক্য : সার্বিক যুক্তবাক্য হিসেবে এর উদ্দেশ্য পদটা এবং নঞর্থক বা নেতিবাচক যুক্তিবাক্য হিসেবে এর বিধেয় পদটা ব্যাপ্য। যেমন- (E) 'কোন মানুষ নয় দেবতা' যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য 'মানুষ' পদটা সামগ্রিক অর্থে গৃহীত হয়েছে। আবার বিধেয় 'দেবতা' পদটাও সামগ্রিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ 'দেবতা' পদের সম্পূর্ণ ব্যক্ত্যর্থকে মানুষ সম্পর্কে অস্বীকার করা হয়েছে। সুতরাং E বাক্যের উভয় পদ ব্যাপ্য।
। যুক্তিবাক্য : বিশেষ যুক্তিবাক্য হিসেবে এর উদ্দেশ্য পদটা অব্যাপ্য এবং সদর্থক যুক্তিবাক্য হিসেবে এর বিধেয় পদটাও অব্যাপ্য। যেমন- (1) 'কিছু গরু হয় কালো' যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য 'গরু' পদটা আংশিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। আবার বিধেয় 'কালো' পদটাও আংশিক ব্যক্ত্যর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কারণ গরু ছাড়া আরও অনেক কালো প্রাণী বা বস্তু আছে। সুতরাং । যুক্তিবাক্যের উদ্দেশ্য ও বিধেয় পদটা অব্যাপ্য।
• যুক্তিবাক্য: বিশেষ যুক্তিবাক্য হিসেবে এর উদ্দেশ্য পদটা অব্যাপ্য 'কিন্তু নঞর্থক যুক্তিবাক্য হিসেবে এর বিধেয় পদটা ব্যাপ্য। যেমন- (O) 'কিছু ছাত্র নয় পরিশ্রমী' যুক্তিবাক্যে উদ্দেশ্য 'ছাত্র' পদটা আংশিক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু বিধেয় 'পরিশ্রমী' পদটাকে এখানে সম্পূর্ণ ব্যক্ত্যর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ পরিশ্রমী বলতে যা কিছু বোঝায় তার মধ্যে কিছু ছাত্র অন্তর্ভুক্ত নয়। কাজেই যুক্তিবাক্যে বিধেয় পদটা ব্যাপ্য। কিন্তু উদ্দেশ্য পদ অব্যপ্য উপর্যুক্ত যুক্তিবাক্যগুলো পর্যালোচনা করে আমি দেখতে পাই, উদ্দেশ্য ও বিধেয় উভয় পদে সমান সংখ্যক ব্যাপ্যতা ও অব্যাপ্যতা বিদ্যমান। এর কোনো ব্যতিক্রম নেই।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?